Pages

Followers

Thursday 29 December 2011

যারা পোরট্রেইট ছবি তুলতে ভালোবাসেন।


যারা পোট্রেইট ছবি তুলতে ভালোবাসেন, তাদের লাইট এন্ড শাডোর কাজগুলো একটু ভালোমত জানা থাকার দরকার। আগেই বলে রাখি টিপস এন্ড ট্রিক্স এর সাথে পারসোনাল অভিজ্ঞতাও শেয়ার করা হইবেক। আচ্ছা আগে কয়েক টা ছবি দেখে আসি।

১।
২।
৩।
৪।

এই ছবিগুলার কমন বিষইয়গুলা খেয়াল করেন একটু। সবগুলাতেই আলো আধারির পুর্ন সুযোগ কাজে লাগানো হয়েছে। সবগুলা ছবির এক দিক ব্লার এবং একদিক ফোকাসড। এবার আসি আসল কাহিনীতে, কেমনে তুলতে হয় এইরাম ছবি।
সবচেয়ে ইম্পরটেন্ট ব্যাপার হলো আপনার সাব্জেক্ট কে জায়গামত বসানো। আপনি যদি ন্যাচেরাল লাইট (যেমন উইন্ডলাইট) কে কাজে লাগাতে চান, তাহলে সাব্জেক্ট কে জানালার পাশে এক্টু কোনা হয়ে বসতে দিন। তার মানে পুরোপুরি ক্যামেরার দিকে মুখ করে না, আবার পুরাপুরি জানালার দিকেও মুখ করে না। জানালার থেকে আলো এসে যেন মুখের একপাশে পড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই তাহলে মুখের আরেকপাশ কিছুটা অন্ধকারে থাকবে।
ধরে নিচ্ছি আপনি ডিএসএলার ব্যাবহার করেন। তাহলে এই আলো আধারি থেকে আপনার কাঙ্খিত ছবিটি বের করে আনার জন্য কাজে লাগাতে হবে এক্সপোজার চাচাকে।

কেমেরা সেটিং এ আসার আগে আমার তোলা কয়েকটা আমেচার ছবি দেখাই। আসলে এই ছবিটা তোলার পরেই এই ধরনের ছবি তোলার আগ্রহটা বেড়ে গেছে।
১। এই ছবিটাকে আমরা এক্সাম্পল হিসেবে ব্যাবহার করবো।

২।
৩।

সময়ঃ আমি ছবিটা তুলেছিলাম রাতে। কিন্তু আমি আলাদা লাইট ব্যাবহার করেছিলাম। লাইট ম্যানিপুলেশন না করলে আপনারা চেস্টা করবেন দুপুর বিকালের মাঝামাঝি সময়ে ছবি তোলার। এই টাইমের রোদটা অনেক জোস ছবি তোলার জন্য।

লোকেশনঃ চেস্টা করুন জানালার বা দরজার পাশে সাব্জেক্ট কে বসানোর। মুখের একপাশে যেনো অবশ্যি আলো পড়ে।

ক্যামেরা সেটিংঃ ফুল ম্যানুয়াল মুডে নিয়া আসুন। লেন্সও ম্যানুয়ালি রাখুন। ছবি তোলার সময় মুখের আলোকিত অংশটুকু ফোকাস করুন। চেষ্টা করুন রুল অফ থার্ড ফলো করতে।

শাটার স্পিডঃ আমি ছবিটা তোলার সময় শাটার স্পিড ছিলো ১/১২০। আমার লাইট টা খুব জোরালো থাকায় শাটার স্পিড বেশি দিতে হয়েছিলো,যাতা অতিঅল্প সময়ে সে ছবিটা নিয়ে নিতে পারে।আলো যেনো বেশি ঢোকার চান্স না পায়। অবশ্যই ক্যামেরার ফ্লাশ ব্যাবহার করবেন না। এতে আলোর ব্যলেন্সটা থাকবে না। ন্যেচেরাল লাইটে ছবি তোলার সময় শাটার স্পীড কমিয়ে আনুন যাতে ইমেজ সেন্সর আলোকিত অংশটুকু বেশি সময় ধরে ক্যপচার করে রাখতে পারে।(লাইট যদি সফট হয়)।

আইএসওঃ আপনারা চেস্টা করবেন আইএসও যতটা সম্ভব কম রাখা যায়। কারন,এই ছবি তোলার জন্য খুব বেশি আলোর দরকার নাই। স্পেশালি মুখের একপাশ টাতো অন্ধকারেই রাখতে হবে, তাই না? আমার ছবিটা তোলার সময় আইএসও ছিলো লো তে।

এপারেচারঃ এপারেচারের কাজ হলো কেমেরায় কতটুকু আলো ঢুকবে সেইটা ঠিক করা। শাডো পোট্রেট তুলতে হলে আপনাকে এপারেচার ছোটো করতে হবে(এপারেচার ভালু বাড়াতে হবে) যেনো শুধুমাত্র মুখের আলোকিত অংশটুকু থেকে সে আলো পায়। তাহলে অন্ধকার অংশটুকু সে কাউন্ট করবে না। ভালো কথা এপারেচার আর এপারেচার ভ্যলু কিন্তু গোলায়া ফেইলেন না। আমার পিকটা তোলার সময় এপারেচার ছিল f/11।

তাইলে কি বুঝা গেলো? লাইট এন্ড শাডো পোরট্রেইট ফটোগ্রাফির জন্য কম্বিনেনেশন টা হবে অনেকটা এই রকম- স্ট্রং বাট সফট লাইট, বেশি শাটার স্পিড, কম আইএসো , বেশি এপারেচার ভ্যালু। তাইলে শুরু করে দেন এক্সপেরিমেন্ট আর আপ্লোড করুন ।

মূল পোস্ট

0 comments:

Post a Comment